কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতেই ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৬০১ জন। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
বুধবার (২৪ জুলাই) পুলিশের বরাত দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় রাজধানীতে ১২ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত ১২ দিনে মামলা হয়েছে ১৩৩টি। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ১১৭ জনকে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় গত দুদিনে করা ৩৮টি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনজন, আহতের সংখ্যা ১ হাজার ১১৭ জন। ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতাকারীরা বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক, তাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার করা হবে।
র্যাব মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ বলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ হয়নি। ছাত্রদের যারা আন্দোলন করছিল, সেখানে কোনো সহিংসতা ছিল না। ছাত্ররা আমাদের প্রতিপক্ষ না, সাধারণ মানুষও আমাদের প্রতিপক্ষ না। যারা আমাদের টার্গেট করেছে, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ। তারাই হচ্ছে সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা এদেশের স্বাধীনতা মানতে চায়নি।”
