আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ১১টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে এ কমিটিগুলোর আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের নাম চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সদস্যসচিব দীপু মনি, অর্থ উপকমিটিতে আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহ ও সদস্যসচিব এইচ এন আশিকুর রহমান, ঘোষণাপত্র উপকমিটিতে শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আব্দুর রহমান, দপ্তর উপকমিটিতে ড. অনুপম সেন ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গঠনতন্ত্র উপকমিটি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ড. সেলিম মাহমুদ প্রচার, প্রকাশনা উপকমিটিতে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটিতে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক উপকমিটি আতাউর রহমান ও অসীম কুমার উকিল, খাদ্য উপকমিটিতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য উপকমিটিতে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. রোকেয়া সুলতানা।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) গণভবনে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে ২২তম জাতীয় সম্মেলন আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি কার্যনির্বাহী বৈঠকে বলেন, “খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা।”
এর আগে, ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ তারিখ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় বেশ ঘটা করেই সম্মেলন করে দলটি। তবে এবার বৈশ্বিক কারণে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশেও। এ কারণে দলটি এবার সাদামাটাভাবেই সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।