রাজধানীর যানজট নিরসনে ১১ সুপারিশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
রাজধানীর যানজট নিরসনে ১১ সুপারিশ

রাজধানীর যানজট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১টি সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটি। শনিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেন কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে চারপাশের নদীঘেঁষে ট্রাম রোড বা সংক্ষিপ্ত রেলপথ তৈরি এবং ওই রেলপথ ঘেঁষে চক্রাকার সড়ক নির্মাণ, ঢাকার অভ্যন্তরে থাকা বাস টার্মিনালগুলো স্থানান্তর, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইন উড়ালপথে করা অথবা প্রতিটি রেলক্রসিং বাইপাস করে দেওয়া। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর দুটি অঞ্চলে ভাগ করে কারাগার ও আদালত ভবন এক জায়গায় করা, ঢাকা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যের বিভিন্ন জেলায় রেলপথ চালু করা।

এ ছাড়া পাশাপাশি ঢাকার ভেতরের ফুটপাত ও সড়ক হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলমুক্ত করা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং নগর পরিবহন চালু করা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে ব্যক্তিগত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা গেলে মানুষ এ শহরের ভেতরে প্রবেশ না করেও এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ দুটোই কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।

কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে ২০১০ সালেও সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সরকার এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি। এ কারণে এখনো রাজধানীতে যানজট রয়ে গেছে। বরং সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, উপদেষ্টা জহুরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন আহমেদ, এস এম সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!