২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০২ জন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তালহা বিন জসিম জানান, গত বছরের মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ও নিহতের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০২ জন নিহতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ২৮১ জন। আর নিহতের মধ্যে পুরুষ ৭৩ জন ও নারী ২৯ জন। আর আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ জন ও নারী ৬০ জন। এছাড়া অগ্নি নির্বাপণের সময় ফায়ার সার্ভিসের ৪৮ বিভাগীয় কর্মী আহত হয়েছেন এবং নির্বাপণে যাওয়ার পথে নিহত হয়েছেন ১ জন কর্মী।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে তিনি জানান, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগেই ঘটেছে ৯ হাজার ৮১৩টি ঘটনা। এছাড়াও বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি, চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি, গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণে ১২৫টি এবং বাজি ফোটানো থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৮৭টি।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও জানান, এসব অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বাসাবাড়ি-আবাসিক ভবনের দুর্ঘটনাই বেশি। বছরের মোট অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বাসাবাড়ি-আবাসিক ভবনে ৬ হাজার ৯৫৬টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট-বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্থলপথের যানবাহনের সংখ্যা ৫০৬টি, নৌ যানে ৭৩টি এবং ট্রেনের সংখ্যা ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, এসব অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।