• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৪ শা'বান ১৪৪৬

এক আদেশে কপাল পুড়েছে ১০ হাজার কর্মীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
এক আদেশে কপাল পুড়েছে ১০ হাজার কর্মীর
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন-বিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সহযোগিতা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। গত ২৫ জানুয়ারি দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২১ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এরপর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সহায়তা ছাড়া ইউএসএআইডির বাকি সব কার্যক্রম আপাতত তিন মাসের জন্য গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এতে বাংলাদেশের প্রায় ৩২৭ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ১০ হাজার কর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশসহ একাধিক সহায়তা কার্যক্রম ঝুঁকিতে।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরো সূত্র জানায়, দেশের ২৭৪টি এনজিও বিভিন্ন দেশ থেকে তহবিল (ফান্ড) পেয়ে থাকে।

এর মধ্যে ইউএসএআইডির ফান্ড পেত ৮৭টি এনজিও। এসব ডোনার এজেন্সির (দাতা সংস্থা) মাধ্যমে দেশে প্রায় ২৪০টি এনজিওর প্রকল্প পরিচালিত হতো। সেই হিসাবে ৩২৭টি এনজিওর ইউএসএআইডির ফান্ড স্থগিত হয়েছে।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৮৭টি ডোনার এজেন্সি ইউএসএআইডির ফান্ড নিত।

তারা অন্যান্য লোকাল এনজিওর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করত। আপাতত তাদের তিন মাসের ফান্ড স্থগিত করা হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপুলসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। সেবাগ্রহীতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

এনজিও-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৩২৭টি এনজিওর ইউএসএআইডির ফান্ডে ১০ হাজারের বেশি কর্মী সরাসরি চাকরি করতেন, যাদের সবাই বেকার হয়েছেন।

এসব কর্মীর বেশির ভাগই বিভিন্ন প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করায় তারা কোনো আর্থিক সুবিধাও পাননি। ফলে হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে তাদের। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও গতি হারিয়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। সূত্র : কালের কণ্ঠ

Link copied!