• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত : প্রতিমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০২:৫৯ পিএম
সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত : প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট মারা গেছেন ৯ জন। এদের মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ পড়ে।”

মো. এনামুর রহমান আরও বলেন, “প্রায় ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিসেম্বরে দেশে আবারও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।”

এনামুর রহমান আরও বলেন, “যেভাবে সিত্রাং সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে ধারণা করা হয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। আল্লাহর রহমতে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ছিল, এটা প্রবল বা অতিপ্রবল বা সুপার সাইক্লোন কোনোটিতেই রূপ নেয়নি। বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটারের ওপরে যায়নি।”

নিয়ম আছে দুর্যোগের পর মাঠ প্রশাসন একটা জরিপ করবে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জেলা পর্যায়ে ডিসিরা ডি ফর্মের মাধ্যমে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন। এরপর আমরা একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা করব। সেখানে যার যার মন্ত্রণালয় ক্ষয়ক্ষতি উপস্থাপন করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা সহায়তা ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করব। এটা করতে আমাদের ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। এ ছাড়া আমরা জেলা প্রশাসনকে বলেছি চাহিদা পাঠাতে। আগামীকাল চাহিদা এলে আমরা বরাদ্দ দিতে পারব। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ টিন ও নগদ টাকা আছে।” 

Link copied!