দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান এক হাজার ২৩৪টি পণ্য চালানের নথি জালিয়াতি করে রপ্তানির আড়ালে বিদেশে ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শনাক্ত হওয়া ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি ঢাকার এবং দুটি গাজীপুরের ও একটি সাভারের।
ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স। গাজীপুরের তিন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড এবং সাভারের প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে—প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থপাচার করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে বিপুল পরিমাণের এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, শনাক্ত ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনে কোড ২০ ব্যবহার করে অর্থ পাচার করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল অব এক্সপোর্টসমূহ পর্যালোচনায় বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপিতে বর্ণিত তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি।
জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি এবং বিধিবহির্ভূত কোড ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।