আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগাম ট্রেন টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিন অনলাইনে ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাইটে প্রবেশ করেন প্রায় পৌনে এক কোটি মানুষ। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ২৫ মার্চের টিকেট উন্মুক্ত হওয়ার খানিক বাদেই সব টিকেট শেষ হয়ে যায়। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকেট পাবেন যাত্রীরা।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মহব্বত জান চৌধুরী।
মহব্বত জান চৌধুরী বলেন, “টিকিট বিক্রি শুরুর পর সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৭৩ লাখ হিট হয়েছে।”
ট্রেনের আগাম টিকেট এখন বিক্রি শুরু হয় ১০ দিন আগে। সেই হিসাবে ঈদযাত্রার আগাম টিকেট ছাড়ার শুরুর দিন শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চের টিকিট। এদিন খুব বেশি হিট হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দীপ দেবনাথ।
সন্দীপ দেবনাথ বলেন, “আজ হিট বেড়েছে, শুক্রবারের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। সকাল ৮টা ২০ মিনিটের মধ্যে টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এদিন দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ২৫ মার্চের টিকেট উন্মুক্ত করা হবে।”
শনিবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রির সাইটে প্রবেশ করে দেখা গেছে, রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে স্নিগ্ধা ৩৮টি, এসি সিট ৮টি, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধায় ৩টি, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট ৮টি, স্নিগ্ধায় ১৯টি আসন ফাঁকা আছে।
তবে ঠিক দুই মিনিট পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে প্রবেশ করে এসি সিট এবং স্নিগ্ধা শ্রেণির কোনো টিকেট পাওয়া যায়নি।
দেখা গেছে, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পার্বতীপুর, নাটোর, খুলনা এবং বেনাপোল স্টেশনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার টিকে শেষ হয়ে গেছে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই।
সকাল সাড়ে ৮টায় ওইসব স্টেশনের শোভন চেয়ারসহ সব শ্রেণির টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। সে সময় পর্যন্ত শোভন চেয়ার শ্রেণির একটি টিকেট অবিক্রিত ছিল।
কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এখন অনলাইনেই সব টিকিট বিক্রি হয়। মানুষের টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি শুরুর দিকেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়।”