ফরিদপুরের সালথায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাহবুব শেখ (৪২) নামের এক বাবার বিরুদ্ধে। পরে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃতকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে মাহবুব শেখ আটক করা হয় বলে ফরিদপুরের (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমিনুর রহমান নিশ্চিত করেন।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও আরও দুটি বিয়ে করে অভিযুক্ত। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মাহবুব শেখ স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বিভিন্ন সময়ে বড় মেয়েকে যৌন হয়রানি করলে দুই মেয়ে নানা বাড়িতে চলে যায়।
নানা বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর দুই মেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। অভিযুক্ত বাবা দুই মেয়ের ভরণপোষণ দেন না খোঁজ খবরও নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। উপায় না পেয়ে বড় মেয়ে (১৯) ঢাকায় গার্মেন্সে চাকরি শুরু করে এবং ছোট (১৬) বোনের খরচ চালায়। বাড়িতে ছোট বোন একাই থাকে। ৩০ জুলাই রাত ১১টার দিকে বাবা ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে চায়ের সঙ্গে মেডিসিন মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে ছোট মেয়েকে পুনরায় ধর্ষণ করেন।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল মো. সুমিনুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত পিতাকে আটক করে দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।