পদ্মা সেতুতে নাট-বল্টু খোলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সেই বায়েজিদ তালহার ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে কীভাবে পদ্মা সেতুর নাট খুলেছে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সিআইডি।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় মালিবাগে সিআইডির হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।
রেজাউল মাসুদ বলেন, “পদ্মা সেতুতে নাট-বল্টু খুলে ভাইরাল যুবককে আটক করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বা ছবি তোলা নিষেধ হলেও প্রথম দিনে শিথিলতার সুযোগে বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে খুলে নিয়েছেন পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু, যা তার নিজস্ব টিকটক অ্যাকাউন্টে ভাইরাল হয়। ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। যা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালেও রিপোর্ট হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, পদ্মা সেতু নিয়ে যুবকটি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি এবং হাসাহাসি করছে।”
তিনি বলেন, “টিকটকের ভিডিওটি আপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিআইডির সাইবার পুলিশের মনিটরিং টিমের নজরে আসে। সিআইডি সাইবার মনিটরিং টিম দ্রুত যুবককে শনাক্ত করে রোববার (২৬ জুন) বিকাল চারটায় শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করে।”
তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। কিন্তু আমরা তার অপরাধটাকেই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খুলেছে নাকি কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে খুলেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, “ভিডিওতে দেখেছি হাত দিয়ে খুব সহজে নাট-বল্টু খুলে ফেলছে। আমরা পদ্মা সেতুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হাত দিয়ে খোলা সম্ভব না বলে আমাদেরকে তারা জানিয়েছে। আমরা মনে করছি এই কাজটা করতে তার একটা পরিকল্পনা ছিল। তবে সে কীভাবে খুলেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ আরও বলেন, “আটক বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করবে সিআইডি। আমাদের কাছে নানা তথ্য আসছে, ভিডিও ফুটেজ আসছে। তথ্যগুলোকে আমরা ভেরিফাই করব। তদন্ত শেষে জানা যাবে।”