• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

কী আছে পরীমনির ভাগ্যে?


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১, ০২:০২ পিএম
কী আছে পরীমনির ভাগ্যে?

রাজধানীর বানানী থানায় করা মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বেলা পৌনে দুইটায় আদালতের হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে তোলা হয় তাকে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে আনা হয়। আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমনির আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,  “আমরা আজ আবার রিমান্ডের প্রেয়ার করব।”

পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে পরীমনির

আদালতে বিচারকালে পরীমনির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই হতে পারে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, কারো কাছে ১০ কেজি অথবা ১০ লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি অথবা ১০০ লিটারের কম মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তিনি সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

একই আইন অনুসারে, কারো কাছে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম অথবা ২০০ মিলিলিটার মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তার সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। এছাড়া কেউ যদি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এমন কোনো ধারা ভঙ্গ করেন, যার স্বতন্ত্র কোনো দণ্ড নেই, কিন্তু তিনি দোষী, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

গত বুধবার (৪ আগস্ট) বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে তাকে আটক করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানে পরীমনির বাসা থেকে এলএসডি, আইসসহ বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। একই দিন রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজের বাসায়ও অভিযান চালায় র‌্যাব। তার বাসা থেকেও মাদকসহ বিকৃত যৌনাচারের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তাকেও আটক করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

আটকের পর পরীমনি ও রাজকে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকালে বনানী থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। এ সময় পরীমনি ও তার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১)-এর সারণি ২৪ (খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/ ৪২ (১)/ ৪১ ধারায় মামলা করেছে র‌্যাব-১। মামলা নং- ০৫। এছাড়া রাজ ও তার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/ ৩৬ (১)-এর সারণি ১০ (ক)/ ৪১ ধারায় পৃৃথক একটি মামলা করা হয়।

পরে ওই দিন রাতেই চার জনকে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে তোলে পুলিশ। আদালতে শুনানিকালে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা প্রত্যেক আসামির সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে বিচারক মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Link copied!