ঢাকায় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে বুধবার বাসা থেকে আটকের পর রাতে র্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। সেখানে তাকে রাতভর বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
পরীমনির সঙ্গে রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজকেও একই দিন আটকের পর র্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। তাকেও সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরীমনি ও রাজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগেও তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হতে পারে।
এদিকে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদও পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরীমনির রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানে পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পরীমনির বাসায় অভিযান শেষে রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে মাদকসহ বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।