কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান রোববার বিকেলেই দেশে ফিরলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে ফেরেন বলে বিমানবন্দর সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রথমে মুরাদকে ইমিগ্রেশন অফিসে নেওয়া হবে। এরপর ইমিগ্রেশনে থাকা কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এর আগে ডা. মুরাদ আমিরাতের একটি ফ্লাইটে দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে টরেন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে আটকে দেয় কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি।
এছাড়া ভ্রমণ সংক্রান্ত যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় কানাডায় ঢুকতে দেয়া হয়নি মুরাদ হাসানকে। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন তিনি। তবে দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ মুরাদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। বিতর্কিত এই সাংসদের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোন ভিসা নেই।
সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য এবং এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের জের ধরে পদত্যাগের পর আত্মগোপন, অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করে এ সময় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে বিপুল কানাডিয়ান নাগরিক দেশটিতে তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন বলেও তাকে জানানো হয়। পরে তাকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের বিমানে তুলে দেয়া হয়।
এর আগে অডিও কেলেঙ্কারি ও সমালোচনার পর মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সেখানে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ছিলেন সে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি। তবে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা জীবনের শুরুর কিছু দিন বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।