পরীমনিকে জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন, এমন শঙ্কার বিপরীতে আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান আদালতকে জানান, পরীমনি পালিয়ে যাওয়ার মতো আসামি নন, তিনি একজন নায়িকা। আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সিএমএম আদালতে জামিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরীমনির আইনজীবী।
মো. মুজিবুর রহমান বলেন, “মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, পরীমনিকে জামিন দিলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, পরীমনি পলাতক হওয়ার মতো আসামি নয়। তিনি বাংলাদেশে একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী। যদি আদালত মনে করেন পলাতক হওয়ার মতো সম্ভাবনা আছে, আদালত যদি তার পাসপোর্ট, তার ইনকাম ট্যাক্সের কাগজপত্র, তারা বাসাবাড়ি আছে, আমরা যেকোনো ধরনের সিকিউরিটি চান আমার দেব। তবু আমরা জামিন চাই। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।”
পরীমনিকে ২৪ ঘণ্টার বেশি নিজেদের জিম্মায় রাখায় র্যাব ও পুলিশের সমালোচনা করেন পরীর আইনজীবী। তিনি বলেন, “ফৌজদারি কার্যবিধি ব্যত্যয় করে তাকে আদালতে নিয়ে এসেছে। এটার পেছনে একটা কারণ ছিল, একটা রহস্য ছিল যেটা পরীমিন বলেছে। দেয়ার ইজ আ ফ্যাক্ট বিহাইন্ড দ্য সিন, এটা আমরা আদালতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আদালত বলেছে, জামিন দেবেন না।”
এর আগে দুই দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুকে শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। সেখানে তাদের আদালতের হাজতখানাতেই রাখা হয়। এজলাসে আর তাদের নেওয়া হয়নি।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠাতে বলেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড এবং গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।