বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আইন এক অনন্য মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আইন এক অনন্য মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এই আইন প্রণয়ন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। সংবিধানের আলোকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে এই আইন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।"
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানের সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "বাংলাদেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, "জনগণের ভোটে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা প্রণীত এই আইনকে দেশের একটি চিহ্নিত মহল অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে। যা 'গ্রহণযোগ্য নয়'। দল বা ব্যক্তি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছ থেকে এই ধরনের উদ্বত্যপূর্ণ মন্তব্যই প্রত্যাশিত ছিল।"
বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, "জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কাদের দেওয়া টাকা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন? বাংলাদেশ থেকে এই অর্থ কোন চ্যানেলে বিদেশে পাচার করা হয়েছে? তার হিসাব কি বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন?" জবাব না দিতে পারলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক ও আইনগত অধিকার থাকবে না।"
বিএনপি বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, "জনগণের ভোট নয়, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা।"
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জনগণের বহুল প্রত্যাশিত 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল' পাশ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সংবিধানের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের ৫০ বছর পর বিলটি পাশ হওয়ায় সংসদ নেতাসহ জাতীয় সংসদের সব সদস্যদের প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।