এখন থেকে ক্রেতাদের পুরাতন গহনা বদল করে নতুন স্বর্ণালঙ্কার নেওয়ার ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ বাদ দেবে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বর্ণালঙ্কারের এই বিনিময় হার কমানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
সোমবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম. এ. হান্নান আজাদ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, এতদিন ১০ শতাংশ হারে বাদ দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত ছিল, যা নতুন নিয়মে ২ শতাংশ কমানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছ থেকে পুরাতন স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বাদ দেবে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এত দিন ২০ শতাংশ হারে বাদ দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত ছিল, যা নতুন নিয়মে ৫ শতাংশ কমানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণালঙ্কার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদের নিয়ম বিদ্যমান ছিল। সম্প্রতি বাজুসের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বর্ণালঙ্কার এক্সচেঞ্জ ও পারচেজের হার কমানো হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, নতুন নিয়মানুযায়ী স্বর্ণালঙ্কার এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ এবং পারচেজের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয়ের সময় ন্যূনতম মজুরি প্রতি গ্রামে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের স্বর্ণালঙ্কার এক্সচেঞ্জ ও পারচেজ বা কেনা এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করেছে বাজুস।
