সরকার ব্যবসায়ীদের উন্নত ডিজিটালসেবা ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে নানাধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া বাংলাদেশ কাস্টমস তাদের পেশাগত দক্ষতা, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতাবৃদ্ধি, অপবাণিজ্য রোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আরো সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২২ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও শিল্পায়নের ওপর ব্যাপক গুর্ত্বু দিয়েছিলেন। এর ফলেই দেশের রাজস্ব আদায়ের বহুমুখীখাত সৃষ্টি হয়েছিলো। জাতির পিতার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে রুপান্তরিত হয়েছিল।”
সরকার প্রধান আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন দফা সরকার গঠন করে সমগ্র দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ডব্লিউসিও ডাটা মডেল আই ডাটা স্ট্যান্ডার্ড কে ভিত্তি ধরে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন করছে। ডিজিটাল কাস্টমস সেবা ও উন্নত তথ্যভান্ডার নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কাস্টমসের অত্যাধুনিক ডিজিটাল প-াটফমের্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবো।”
এছাড়া তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস