ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন চলছে। ২৯ এপ্রিলের আগাম টিকিট পেতে কমলাপুর রেলস্টেশনে রাত থেকেই লাইনে দাড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে সেই লাইন আরও দীর্ঘ হতে শুরু করে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, টিকিটের ৫০ ভাগ দেয়া হয় কাউন্টারে। আর বাকি ৫০ ভাগ পাওয়া যাবে অনলাইনে।
সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রত্যাশীদের ভিড়। কেউ জানিয়েছেন, ভোর রাত থেকেই এসে লাইনে রয়েছেন। কেউ আবার রোববার তারাবি নামাজ শেষ করেই স্টেশনে চলে এসেছেন।
রামপুরা থেকে আসা টিকিটপ্রত্যাশী আবদুর রহমান বলেন, “গতকাল (রোববার) অনেকক্ষ দাড়িয়েও টিকিট পাইনি। বাড়ি ফিরে গেছি। এরপর ভোর রাত থেকেই লাইনে দাড়াইছি। আজকেও না পেলে বিপদে পড়ে যামু।”
এদিকে কাউন্টারে থাকা অধিকাংশ যাত্রী অভিযোগ করে জানান, অনলাইনে ই টিকিট কাটতে না পেরে তারা স্টেশনের কাউন্টারে এসেছেন। কাউন্টারে এসেও টিকিট দিতে ধীর গতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এই বছর ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ সামলাতে রাজধানীর পাঁচ স্টেশনে ট্রেনের ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। একেকটি স্টেশন থেকে একেকটি গন্তব্যের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে কমলাপুর থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট, বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট তেজগাঁও থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহন ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিন ২৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ এপ্রিল (রোববার), ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫ এপ্রিল (সোমবার), ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এবং ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল (বুধবার) বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এবার ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এই স্লোগান বাস্তবায়নে যাত্রীদের এনআইডি-জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট ক্রয় করতে হবে। এনআইডি ছাড়া অন্য কোনো পরিচয়পত্র দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না।