বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নিপুণের আবেদনের (লিভ টু আপিল) ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আদালতে নিপুণ আক্তারের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে রয়েছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।
জায়েদ খানের পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী।
এর আগে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিপুণের লিভ টু আপিলের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিপুণের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন পেছানো হয়।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করা জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়। এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠক শেষে বোর্ডের প্রধান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। হাইকোর্ট আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলে নিজের পদ ফিরে পান তিনি। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন নিপুণ।
ওই আপিল শুনানি নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
এ সময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলেও জানান আদালত। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদটি আপাতত শূন্য রয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) জানা যাবে কে বসছেন সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে।