দেশে সয়াবিন তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। সরকার আমদানি, উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও বাজারে সেটার প্রভাব পড়েনি। তাই সয়াবিন তেলের বাজারমূল্য পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এসব দাবি জানান।
বিবৃতিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক বলেন, “সয়াবিন তেলের আমদানিমূল্য পূর্বে ছিল ১১৮-১২২ টাকা। আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাদ দিলে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ১০৬-১১২ টাকা। সেই সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং সরাসরি ভোক্তাদের কাছ থেকে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা হয়। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সর্বমোট ভ্যাটের অর্থ বাদ দিলে প্রতি কেজি সয়াবিনের তেলের দাম কমপক্ষে ৩০ টাকা কমার কথা।”
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাজারে খোলা তেলের দাম কিছুটা কমলেও বোতলজাত তেলের মূল্য এখনো সেভাবে কমেনি। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৭৯০ টাকায় এখনো বিক্রি হচ্ছে। সরকারের দেওয়া সুবিধা বাদ দিলে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ছিল ৬৫০ টাকা। এসব অসৎ ব্যবসায়ী একদিকে রাষ্ট্রের দেওয়া সুবিধা লুটপাট করছে আবার জনগণের পকেটও কাটছে। অথচ দুঃখের বিষয় আন্তর্জাতিক বাজারে যখন মূল্য বাড়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী দাম বাড়িয়ে নেয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সরকারি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা হলেও ব্যবসায়ীরা এমনকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করছে না।”
বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আরও বলেন, “আমাদের দাবি বাণিজ্যমন্ত্রী সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করে বাজার মনিটরিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করবেন। যাতে জনগণ সরকারি সুবিধায় ন্যায্যতার ভিত্তিতে সয়াবিন তেল কিনতে পারে। পাশাপাশি আটা ময়দা, সাবান, গুঁড়া সাবান, গুঁড়া দুধের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে অসৎ ব্যবসায়ীরা।”
এছাড়া সরকারকে অনুরোধ করব বাজারে অসৎ প্রতিযোগিতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পবিত্র রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনুন বলে যোগ করেন তিনি।