• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচন করেছি : আইভী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০৫:৫১ পিএম
সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচন করেছি : আইভী
ছবি: সংগৃহীত

কোনো নির্বাচনেই ষড়যন্ত্রের বাইরে ছিলাম না। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নির্বাচন করেছি বলে মন্তব্য করেছেন তৃতীয়বারের মতো নাসিকের মেয়র নির্বাচিত হওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি বলেন, ‘‘এবারের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন কঠিন ছিল। তিনটি মেয়র নির্বাচন করেছি। তিন নির্বাচনের ফ্লেভার তিন রকম ছিল। যদিও আমার দল আওয়ামী লীগ সরকারে ছিল, কিন্তু প্রতিবারই বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে সাধারণ জনগণকে আস্থায় এনে নির্বাচনে জিততে হয়েছে।’’

শনিবার (২২ জানুয়ারি) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতা শীর্ষক’ এক ভার্চুয়াল সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, ‘‘আমার আস্থা ও ভরসার জায়গা জনগণ। আমি সবার সঙ্গে মিশি। সবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। আমি কোনো ভায়োলেন্স পছন্দ করি না। আমার কোনো বাহিনী নেই। ন্যায়সঙ্গত কাজ করেছি, কারও কাছ থেকে সুযোগ নিইনি। আমার ভোট কমে যাবে এমন চিন্তা করে কোনো কাজ করিনি।’’

নারায়গঞ্জের মানুষ প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে জিম্মি উল্লেখ করে সংলাপে তিনি বলেন, ‘‘আমার চিন্তা ছিল সেইসব মানুষদের কথা বলানো শেখাতে হবে। সাহসী করতে হবে। শহরের মানুষ চেয়েছিল, একটা মানুষ অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াক। ত্বকী হত্যা নিয়ে আমরা প্রচণ্ড আন্দোলন করেছি। আমরা একটা প্লাটফর্ম করেছি। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি। আমি আমার অবস্থান থেকে কখনো পিছপা হয়নি আর কখনো হবো না।’’

নারায়ণগঞ্জে ভোট কমার কারণ উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘‘ভোট কমেছে ইভিএমের কারণে। এমন না যে আমার ভোটাররা ভোট দিতে আসেননি। ইভিএম অনেক স্লো ছিল, নষ্ট ছিল। অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। ফিঙ্গার মেলাতে পারেনি।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি এবার একটি বিষয় দেখলাম, নারী ভোটারদের তিন-চার তলায় নেয়া হয়েছে। কী কারণে নেয়া হলো, আমি জানি না। অনেক ভোটকেন্দ্রে বুথ কমিয়ে দেয়া হয়েছে রহস্যজনকভাবে। কেন করা হলো আমি জানি না। আরও কিছু কারণ আছে, যা আমি এখানে বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’’

সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা প্রসঙ্গেও আইভী বলেন, ‘‘আসলে সিটি করপোরেশন চালানো কঠিন। রাজউক আমার নাকের ডগায় অনেক কিছু করছে। দূষণ রোধে আমার কোনো কাজ নেই। শিশুবান্ধব খেলার মাঠ করতে দিচ্ছে না আমাকে। মিডিয়াতে আমাকে ভূমিদস্যু বানানো হয়েছে। অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড সরাতে দিচ্ছে না। রেল মন্ত্রণালয়, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কাজ করছে আমাকে না জানিয়েই। এসব হচ্ছে সমন্বয় না থাকার ফলে। আমার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মিটিং ডাকলে কমিটির সদস্যরা আসে না। ফলে এই কমিটি নামসর্বস্ব কমিটিতে পরিণত হয়েছে। সিটি গভর্ন্যান্স না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার কখনও শক্তিশালী হবে না।’’

এ সময় সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বদিউল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত ও রাশেদ খান মেনন।

Link copied!