শুক্রবার ছুটির দিনে জমে উঠেছে পূর্বাচল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার অন্যদিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থী যেমন বেড়েছে, তেমনি বেচা বিক্রিও বেড়েছে। বিক্রি নিয়ে দোকানিদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ অন্যদিনের তুলনায় ছুটি দিন হওয়ায় দর্শনার্থীর পাশাপাশি বেচা বিক্রিও বেড়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণ সরজমিন ঘুরে দেখায় আজ ছুটির দিন হওয়ায় অনেকে পরিবার নিয়ে দেখতে আসছেন মেলায়। পাশাপাশি মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি অনেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা কাটা করছেন।
এদিকে মেলা ১৪তম দিনেও মেলায় স্টল নেওয়া অনেক বিক্রেতার হতাশা দেখা যায়। অনেক বিক্রেতা হতাশার সুরে বলেন, আগে বুঝলে এবার স্টল ভাড়া নিতাম না।
তৈরি পোশাকের দোকান ড্রেস লাইন বিডিতে ঢুকতেই দেখা গেল, মোটামুটি ভিড়। তবে বিক্রয়কর্মী জানালেন ভিন্ন কথা, সবাই শুধু দেখেন, কেনেন না। দর্শনার্থীদের বেশির ভাগই স্থানীয় বাসিন্দা।
অন্যবার ছুটির দিনগুলোতে তৈজসপত্রের দোকান দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের স্টলে ব্যাপক ভিড় থাকত। কিন্তু এবার দেখা গেল, ভিড় নেই। বাহারি তৈজসপত্রগুলো ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
ঢাকার নিউমার্কেট থেকে জামদানী শাড়ির স্টল নিয়েছেন সাইফুল ইসলাম জিসান। তিনি বলেন, “ধীরে বাড়ছে বিক্রি। আশা করছি বিক্রি বাড়বে। কাস্টমার আসছে, বিক্রিও বাড়ছে। আমরা যেমন ভাবছি তেমন হচ্ছে না। ধীরে বিক্রি বাড়ছে আশা করা যাচ্ছে।”
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্লেজারের দোকানদার শেখ মফিজুর রহমান। বিগত মেলাগুলোর মত এবারও মেলায় স্টল নিয়েছেন। কিন্তু মেলার ১৪তম দিনেও বেচাবিক্রি নিয়ে চরম বিরক্তি দেখা যায়। তিনি বলেন, “আগারগাঁও থাকাকালে এমন সময়ে আমাদের অনেক বেশী বিক্রি হতো। কিন্তু এবার বিক্রি নাই। সবাই এসে শুধু দেখে।“
ঢাকার সাভার থেকে পরিবার নিয়ে মেলা দেখতে এসেছেন বেসরকারি চাকুরিজীবী বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, “আগারগাঁও থেকে এখানে পরিবেশ অনেক ভালো। তবে যাতায়াতের অনেক অসুবিধা। যাতায়াত ব্যবস্থা আরেকটু ভাল হলে মানুষের আর ভিড় বাড়তো।”
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর চলছে। বিগত বছর গুলোতে রাজধানীর ভিতর হলেও এবার স্থায়ীভাবে রাজধানীর বাইরে পূর্বাচলে হচ্ছে। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।