নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
রোববার (২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদ’ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, “শুধু নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে একতরফা নির্বাচন নিয়ে সংলাপ নয়। অনিবন্ধিত দলগুলোও দেশের অগ্রগতির কাজে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে।”
তাই নির্বাচন নিয়ে অনিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।
তারা আরো বলেন, “দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো শুধু রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের পথ খোঁজে। এককভাবে ক্ষমতায় থাকা এবং আসীন হওয়াটাই এখানে মূল লক্ষ্য বলে দৃশ্যমান। ফলে বুর্জোয়া দলগুলো নিবন্ধনের সুযোগ নিয়ে চলমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সক্রিয় এবং সম্ভাবনাময় দলগুলোকে কোণঠাসা করে রাখছে নির্বাচনের পর নির্বাচন, যা রাষ্ট্রের ন্যায়, কল্যাণ, সাম্য ও সুশাসনের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
অনিবন্ধিত দলগুলোর নেতারা বলেন, “রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন তা অবশ্যই আরও প্রশংসনীয় এবং গ্রহণযোগ্য হবে, যদি তিনি একটি সর্বজনীন সংলাপের উদ্যোগ নেন। যে উদ্যোগে গুরুত্ব পাবে দেশের জনগণ এবং পাশাপাশি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ স্বাধীনতার আগে থেকেই সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়-সব কিছুতেই নেতৃত্ব দিয়েছে যে দলগুলো, তার সবই ছিল অনিবন্ধিত। এমনকি ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ এদেশের বড় বড় অর্জনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা সবাই নিবন্ধনহীন ছিল। সুতরাং নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সূত্রের বেড়াজাল, বৈষম্য ও বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রের মূল সূত্রই অস্বীকার করা হচ্ছে নির্মমভাবে।”
এ সময় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান এম নাজিমউদ্দীন আল-আজাদ। সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেন প্রায় ৩০টির অধিক অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং জোটের নেতারা।