মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন মুরাদ হাসান। অডিও কেলেঙ্কারি ও নানান আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তিনি দেশ ছাড়লেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১টা ২১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ঢাকা ছাড়েন। এই ফ্লাইটে তিনি দুবাই পৌঁছাবেন। সেখানে থেকে আবারও কানাডা উদ্দেশে রওনা করবেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মধ্যরাতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন মুরাদ। ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে কানাডায় যাবে। তার কাছে কানাডার টিকিট রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ডা. মুরাদ হাসান। এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকা সরিষাবাড়ির উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী ও নায়ক ইমনের সঙ্গে অডিও ফাঁসের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এর মধ্যেই তিনি দেশ ছাড়লেন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ডাক্তার মুরাদ। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা জীবনের শুরুর কিছুদিনন তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ডা. মুরাদের বাবা মতিউর রহমান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে মাত্র ৩৪ বছরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন তিনি।আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে এমপি হয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।