রাজধানীর রামপুরায় যাত্রীবাহী বাস চাপায় নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের পরিবারকে ট্রেড লাইসেন্স ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে অবস্থিত মাইনুদ্দিনের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা ও এসব সহায়তা দেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাইনুদ্দিনের বাবা আব্দুর রহমান ও মা রাশেদা বেগম। পরে বৈধভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের হাতে চায়ের দোকান ও মুদি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স তুলে দেন ঢাকা উত্তরের নগরপিতা। পাশাপাশি সেই চায়ের দোকান ও মুদি দোকান সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এছাড়া নিহত মাইনুদ্দিনের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন আতিকুল ইসলাম। তার মাইনুদ্দিনের বড় ভাই মো. মনির হোসেনকেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় মাইনুদ্দিনের পরিবারকে মেয়র বলেন, “মাইনুদ্দিনকে আল্লাহ-তাআলা নিয়ে গেছেন। আমরা সকলে মিলে দোয়া করি, তিনি যেন মাইনুদ্দিনকে জান্নাত বাসী করেন। আমার বড় ভাইও কার এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। আমার সাথে আমার বড় ভাইর বয়সের পার্থক্য ছিল দুই বছরের। তখন আমি দেখেছি আমার বাবা-মা কীভাবে কান্না করেছে। আমরা এই শোক বুঝি। এই সময় আমরা দোয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারবো না আপনার ছেলের জন্য। আমরা সকলে মিলে দোয়া করি।”
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, “আমরা সবাই একদিন এই দুনিয়া থেকে চলে যাবে। সবাইকেই চলে যেতে হয়। আমার বলার কিছু নাই। আমার বলার ভাষা নেই। আমি শুধু এইটুক বলতে পারি আমরা আপনাদের সাথে আছি। আমার পুরো উত্তর সিটি করপোরেশন আপনাদের সাথে আছি।”
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, “এতদিন দোকানটা অবৈধ ছিল, এখন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ায় এটা বৈধ হলো। আপনি এখানে চায়ের দোকান এবং মুদি দোকান করতে পারবেন। আপনাদের যদি এই দোকান ছেড়ে চলে যেতে হয়, আমি কথা দিচ্ছি, সিটি করপোরেশনের যেকোনো জায়গা খুঁজে আপনাদের সেখানে একটি স্থায়ী দোকান করে দিব।”
এ সময় ডিএনসিসির কাউন্সিলরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।