• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে : বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২২, ০৪:২৬ পিএম
ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে : বাণিজ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

দেশে ভোজ্যতেলসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‍“আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের যথাযথ এবং সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে দাম কমে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে ভোজ্যতেলসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “ইতোমধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, চাহিদা নির্ণয়, মজুত পরিস্থিতি, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ এটা মনিটরিং করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।”

টিপু মুনশি বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২৮টি মনিটরিং টিম বাজার দাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টিসিবির তরফে ঢাকাসহ সারা দেশে তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রাক সেল চলমান রয়েছে। এছাড়া সারা দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষকে রমজান শুরুর আগে গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে এবং দ্বিতীয়বার ৩ এপ্রিল থেকে আবারও টিসিবির তরফ থেকে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে।”

সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও অগ্রাধিকার বাণিজ্য স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়া যাবে।”

সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, যা হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেটি ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।”

এছাড়া সংসদ সদস্য মোহম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ৩৬৭ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৬.২৪২.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।”

Link copied!