চাল ও তেলের বাজারে অস্থিরতা লেগেই আছে। কোনোভাবেই কমছে না এ দুটি পণ্যের দাম। এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চিনি, মসুর, ডিম, মুরগীসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যে এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। দাম কমেছে শুধু সবজির।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ ও নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের চালের দাম বেড়েই চলছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা।
চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে দিন আগে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও ফের দাম বাড়ার পর আর কমেনি। রূপচাঁদা সয়াবিন ৫ লিটার ৬৮০, বসুন্ধরা ৬৬০, পুষ্টি ৬৬০, তীর ৬৮০, পামওয়েল কেজি ১২০ টাকা, সরিষার তেল ৫ লিটার ৯২০ টাকা।
চাল ও তেলের দাম নিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। চিনির বাজারেরও একই অবস্থা।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছেন। সরকার উদ্যোগ নিলেও এর দাম কমাতে পারছেন না।
গত সপ্তাহে ধরে চিনির লাফিয়ে বাড়ছে। খোলা চিনি বিক্রি হতো ৬৫-৭০ টাকা, এখন সেটা ৭৮-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগের গত সপ্তাহের চেয়ে ১০-১২ টাকা বেশি। প্যাকেটজাত চিনি ৮০-৮৫ টাকা।
মসুর ডাল ভারতীয় কেজি ৭৭, সরুটা ৯৫, বুটের ডাল ৭০, মুগ ডাল দেশি ১২৫ টাকা। আটা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা করে।
নয়ন নামে এক ক্রেতা বলেন, তেলের দামতো বাড়তি আগে থেকেই। আজকে বাজারে এসে দেখলাম চাল ও মুরগী, ডিমসহ অনেকগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজি ৫০, আলু ১৮ টাকা কেজি। আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা কমেছে। রসুন ১২০, চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, চীনা রসুন ১০০ টাকা এবং দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।
মাছের দামের মধ্যে ইলিশ প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি ১৭০, রুই-৩৫-৩৮০, পাঙাশ ১১০-১৩০।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগীর দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০। লেয়ার ২৩০ টাকা, হাঁস প্রতি পিস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কবুতর ১৩০ টাকা। মুরগির ডিমের হালি ৩৫, হাঁসের ডিম হালি ৫৫৫ টাকা।
এদিকে সবজির দাম নিয়ে তেমন অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়নি ক্রেতাদের। গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। শসার কেজি ছিল ৩৫-৪০ টাকা বরবটি ৭০, গাজর ৮০, টমেটো ৭০-৮০, লাউ প্রতি পিস ৩০-৫০, কাঁচা মরিচ ৮০, পটোল ৩০, কচু আলু ২০, করলা ২০, করলা ৩০, লেবু হালি ২০, ধুন্দুল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৩০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, চিচিঙা ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা।