• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপিরই হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে: কাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ০৩:০৫ পিএম
বিএনপিরই হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে: কাদের

বিএনপির আন্দোলনের হাতিয়ারে মরিচা ধরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার (২ অক্টোবর) সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন, আর মাঝে মাঝে তার বাকচাতুর্য কল্পনাকেও হার মানায়। বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ারে নাকি সরকারের হৃৎকম্প শুরু হয়েছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য সৃজনশীল কথামালার চাতুরী৷ এতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর আত্মতৃপ্তি বোধ করতে পারেন, কর্মীদের রোষানল থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য কল্পনার ফানুস ওড়াতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা যে তাদের বক্তব্যের বিপরীত, তা দেশের মানুষ ঠিকই জানেন।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা বিএনপিকে আগেই পেয়ে বসেছে। তাই তাদেরই হৃদয়ে হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ভয়ে কাঁপে না। চ্যালেঞ্জ আর লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, আর সেই রাজনীতিই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করে যাচ্ছে।”

কাদের বলেন, “এ দেশের রাজপথ জানে আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের বীরত্বগাথা আর সমৃদ্ধ ইতিহাস। জনগণ জানে বিএনপির হঠকারিতা, গণতন্ত্র হত্যা, ষড়যন্ত্র, লুটপাট আর সুবিধাবাদী রাজনীতির কথা। বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ার তো গত ১৩ বছরে কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা ভরাডুবির ভয়ে এখন নির্বাচন বিমুখ, তাই রাজপথ আর ভোটের ময়দান ছেড়ে গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।”

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার আর আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে অপচেষ্টা করছেন তা আমাদের অজানা নেই। বিএনপির সবকিছুতেই শর্ত এবং মামার বাড়ির আবদার।”

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে নাকি তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, আসলে বিএনপি ভালো করেই জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি একটি মীমাংসিত বিষয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল কে করেছে? উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। এ পদ্ধতি ছিল একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা, দীর্ঘ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চলতে পারে না।”

তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র যখন এগিয়ে যায় তখন সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরতে শুরু করে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আপনি নির্বাচিত হয়েও কেন সংসদে গেলেন না? এটা কোন গণতন্ত্র? ভোটাধিকার নিয়ে তো আপনারাই ছিনিমিনি খেলে ছিলেন।

কাদের বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সময়মতো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মীমাংসিত বিষয় নিয়ে অযথা মাঠ গরম না করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে বদ্ধপরিকর। সরকার সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।”

এছাড়া দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

Link copied!