বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নির্ধারিত নতুন ভাড়ার তালিকা মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি।
তবে আজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সারা দেশে ভাড়ার তালিকা পৌঁছে দেওয়া হবে জানিয়েছে বিআরটিএ। বিষয়টি নিয়ে বাস মালিকরা বিআরটিএর কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।
এর আগে সোমবার (৮ নভেম্বর) থেকে দেশের গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ আজ বিকেলে বিআরটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভাড়ার তালিকা তৈরি না করায় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা চলছে। বাস মালিকরা আমাদের কাছে বার বার এ বিষয়ে অভিযোগ করছেন। এ নিয়ে আমরা চাপে আছি।”
সভায় উপস্থিত বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ সময় বিআরটিএ মিরপুর সার্কেল অফিসের উপ-পরিচালক শহীদুল্লাহকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সারা দেশে ভাড়ার তালিকা পৌঁছাতে হবে।
সভায় উপস্থিত বিআরটিএ মিরপুর সার্কেল অফিসের উপ-পরিচালক শহীদুল্লাহ এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, “ভাড়ার তালিকা তৈরির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থাৎ আজ সন্ধ্যার মধ্যে অন্তত ঢাকা শহরের সব জায়গায় ভাড়ার তালিকা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
এছাড়া জরুরি সভায় বিআরটিএর নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম বলেন, “বাস-মিনিবাসে ভাড়ার হার দৃশ্যমান থাকলে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা কমবে। কোন রুটের ভাড়া কত বিষয়টি শ্রমিক ও যাত্রীদের জানা থাকলে তা নিয়ে বাকবিতণ্ডার সম্ভাবনা কমে যাবে। মহাখালী বাস টার্মিনালে আজ অভিযান পরিচালনার সময় গাড়িতে ভাড়ার তালিকা গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি।”
সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সারোয়ার আলম বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশে নতুন ভাড়ার তালিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিআরটিএকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।”
এছাড়াও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।