“ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সব কথা শোনে না। তারা গড়ে ১৫ ভাগ অনুরোধ রাখে বা কথা শোনে। আমরা তাদের কাছে এক ধরনের অসহাত্বের মধ্যে বসবাস করছি। আমরা তাদের কৃপার উপর নির্ভরশীল।”
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
মোস্তফা জব্বার বলেন, “আমরা ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করেছি। জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের মতো করে কমিউনিটি স্টান্ডার্ড বানায়, তাদের কমিউনিটি স্টান্ডার্ড আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। আমরা ২০১৮ সালে ফেসবুকের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না, গুগল তো দূরের কথা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমার প্রথম বৈঠক হয়। সেই আলোচনার সূত্র ধরে আপনাদেরকে বলতে চাই, বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যে স্যোশাল মিডিয়াগুলো সাথে একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করার। আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেওয়ার। আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, সাম্প্রদায়িকতা, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস এগুলো সম্পর্কে যেন তাদেরকে ধারণা দিতে পারি। আমেরিকানদের এই জিনিসগুলো বোঝানোটা কঠিনতম লড়াই। একাত্তর সালে বোঝাতে পারিনি আর এখনতো আরো কঠিন সময়।
তালেবানের উত্থান ফেসবুক সমর্থন করবে না, তাই তাদের ভিডিও এদেশে সেভাবে ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ থেকে ২২ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফি এবং অনলাইন জুয়ার সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবকে দেশের বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক ও উগ্রবাদী কনটেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর সব কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হবে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রেজিস্টার্ড প্রযুক্তি কোম্পানি, সে অনুযায়ী অন্য কোনো দেশের কোনো অনুরোধ প্রতিপালন করার বিষয়ে তাদের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তারা তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, সংস্থার মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বক্তব্য রাখেন।