প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটিতে আসা নামগুলো আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে প্রস্তাবকারীদের নাম প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্চ কমিটির তৃতীয় বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা এখন নামের তালিকা জমা দেয়নি, তারা আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে ইসির জন্য প্রস্তাবিত নাম দিতে পারবে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলো এ সুযোগ পাবে।”
এছাড়া আগামী মঙ্গলবার বিকেলে সার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে এদিন বিকেল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কমিটির তৃতীয় ও শেষ বৈঠক শুরু হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ।
বৈঠকের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে নামের তালিকা জমা দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া সার্চ কমিটিতে আসা প্রত্যেকের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার কথা। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার পর সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।