শীতের মৌসুম শুরু হতেই পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পেঁয়াজের দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী।সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা করে বেড়ে গেছে। নিত্যপণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। আমদানি করা ভালো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে।
গত সপ্তাহে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয় ৬০-৬৫ টাকা। আর আমদানি করা মিয়ানমার ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি দরে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিলন সরদার বলেন, “গতকাল আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ৪২ টাকা কেজি কেনাই পড়েছে। এখন বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহখানেক আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ টাকা।”
পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী মিলন সরদার আরও বলেন, “পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমরা খুচরা বিক্রেতারা কষ্টে আছি। কারণ বেচাকেনা কমে গেছে।”
এদিকে পেঁয়াজের দাম বাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ ৫০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৪৫-৬০ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
শুধু পেঁয়াজ নয়, পাশাপাশি রসুন, আলু ও ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটির পণ্যের মূল্য কেজিতে ৫-১০ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে আরেক ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব কাঁচাবাজারেও পড়ছে। আমদানিও কম হচ্ছে।”
নিত্যপণ্যের সঙ্গে পেয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারাও। সকালে কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, “সবকিছুর দাম বেড়েছে। এখন বিজয় দিবস, বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে চারপাশে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান বেশি হয় তাই বিক্রেতারাও সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকার থেকে মনিটরিং করলে এটা হয় না। প্রতিদিনের বাজার করাই এখন দায় হয়ে গেছে।”