আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আরেক দফা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে পিয়াসার এবং সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মৌয়ের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে পিয়াসাকে হাজির করা হলে পৃথক তিনটি মাদক মামলায় তার বিরুদ্ধে আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মৌকে সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির করা হলে একটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ওই দুই মডেলকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ আগস্ট (সোমবার) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত পিয়াসার তিনদিনের মঞ্জুর করেন।
একই দিনে মৌয়ের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত।
পুলিশ জানায়, প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় রোববার (১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে অভিযান চালানো হয়। তাকে রাত পৌনে ১২টার দিকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পিয়াসার তথ্য মতে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকেও রাত ১টার দিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৌকেও ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, পিয়াসা ও মৌ পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
২ আগস্ট (সোমবার) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পিয়াসা ও মৌ দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।”