করোনা সংক্রমণ রোধে এবার করোনা টিকার আওতায় আসছেন রাজধানীর পরিবহন শ্রমিকরা। পরিবহন শ্রমিকদের করোনা টিকা প্রদানের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রথম টিকা দেওয়া হয় পরিবহন শ্রমিক রাজু হালদারকে। টিকা সেন্টারে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক উপস্থিত রয়েছেন। বিআরটিএ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ঝুমানা আশরাফি জানান, যেসব শ্রমিকের এনআইডি কার্ড নেই, তাদের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।বিআরটিএ ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব পরিবহন শ্রমিকেই টিকা প্রদান করা হবে।
দ্রুত পরিবহন শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিকদেরও টিকা সনদ সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশের পরিবহন শ্রমিকদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনা হবে।
এর আগে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের জন্য টিকাদানে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
গত সপ্তাহে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিআরটিএ কর্মকর্তারা। সেখানে পরিবহন মালিকরা জানান, তাদের চালক ও শ্রমিকদের ৮০ শতাংশের বেশি এখনো টিকার আওয়াত আসেননি। তাদের জন্য টার্মিনালগুলোতেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্কুল ও কলেজেও টিকা কর্মসূচি চলছে। চলতি মাসে ৪ কোটি টিকা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে সরকার।