ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট চলছে। পণ্যবাহী যানবাহন এবং গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল ছিল।
সকালে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছানো জন্য় গণপরিবহনের অপেক্ষায় ছিলেন। রিকশার উপস্থিতি থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। একটি রিকশা ভাড়া করতে কয়েকজন মানুষ জড়ো হচ্ছেন। পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এবং কর্মস্থলে পৌঁছাতে যাত্রীরা যানবাহনের অপেক্ষা করছেন। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম রয়েছে।
এদিকে বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানোর মধ্যেই পূর্বঘোষণা ছাড়াই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী কয়েকটি পরিবহনের বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। টিকিটপ্রতি ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বাড়তি ভাড়া আদায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছ সাধারণ যাত্রীরাও।
পরিবহন মালিকদের দাবি, সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেলের দামও বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে তারা অসুবিধায় পড়েছেন। বাধ্য হয়েই ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রুপি ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।
অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম না কমালে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লরি প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।