• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবর্তন আসবে, হতাশার কোনো কারণ নেই: ফখরুল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১, ০৩:৪৬ পিএম
পরিবর্তন আসবে, হতাশার কোনো কারণ নেই: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চারিদিকে শ্বাসরুদ্ধকর একটা অবস্থা, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। হতাশার কোনো কারণ নেই।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি যেহেতু রাজনীতি করি, একটা বড় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, স্বাভাবিকভাবেই আপনারা আমাকেই জিজ্ঞাসা করবেন কবে এই অবস্থা থেকে  বের হতে পারব। আমি সরাসরি উত্তর দিতে চাই, আমরা অবশ্যই বের হতে পারব। কারণ এ দেশের মানুষ কখনোই পরাজয় বরণ করেনি। পাকিস্তান থেকে শুরু করে, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন অবশ্যই পরিবর্তন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন আসবে, হতাশার কোনো কারণ নেই।”

ফখরুল বলেন, “আমাদের সময় শিক্ষকদের একটা সম্মান ছিল। আনোয়ার উল্লাহ সাহেবরা যখন হেঁটে আসতেন, তখন শিক্ষার্থীরা মাথা নত করে সম্মান জানাতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বক্তব্য যখন শুনি তখন লজ্জা হয়। ৫০ বছরে আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করলাম যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমার লোক হতে হবে। হয়তো আমার এ কথায় অনেকে কষ্ট পাবেন, কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা এ রকম একটা ব্যবস্থায় চলে গেছি “

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “কিছুক্ষণ আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জানালেন যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া গেছে। শাহবাগ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের শাসকদের এবং শাসন ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র।”

একটা নয়, প্রত্যেকটি জায়গায় চরম নৈরাজ্য চলছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, “লক্ষ্য একটিই কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। মানুষের কল্যাণ, দেশের কল্যাণের দিকে কারও নজর নেই। আমরা করোনার সময় দেখেছি ভয়াবহ অবস্থা, মানুষের আহাজারি, সেই সময় দেখেছি কী করে তারা অর্থ উপার্জন করবেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির ড্রাইভার ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এই যে একটা অবস্থা। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ১৬৯ জনকে এক রাতে নিয়োগ দিলেন, উদ্দেশ্য কিছু উপার্জন করা। এই যে একটা সমাজ আমরা তৈরি করেছি এই সমাজ থেকে ভাল কিছু পাওয়ার আশা করা খুব কঠিন।”

তিনি বলেন, “প্রফেসর আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কৃতিত্ব সেই জায়গায় যে এই দুঃসময়ের মধ্যেও তিনি হতদ্যম হননি। এখানেই তার সফলতা। আমি এই গুনিজনদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা এখনও আমাদের আশার আলো দেখান।”

এ সময় বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আনম এহসানুল হক মিলন, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ইউসুফ হায়দার।

এছাড়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক ও কবি আব্দুল হাই সিকদার।

Link copied!