ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। বর্তমানে পত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে রয়েছে।
পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মাত্রই কেবিনেট থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। সেই ফোনে মুরাদ অশ্লীল ও আপত্তিকর ভাষায় মাহির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি মাহিকে ধর্ষণের হুমকিও দেন। এর আগে, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন মুরাদ। এমন বক্তব্যে মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি। এছাড়া নারী অধিকার কর্মীরাও তার পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দেয়।
এসব ঘটনা মধ্যেই সোমবার রাতে মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাতেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এই রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।