নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ খসড়া আইন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২ সংসদে উত্থাপন করা হয়। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ইসি নিয়োগের খসড়া সংসদে উত্থাপন করেছেন।
সকাল ১১টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন শুরু হয়। পাঁচদিন মুলতবির পর এ অধিবেশন শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। আইনটি সংসদে উত্থাপন ও পাস করে গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য় আর মাত্র চার সপ্তাহ পাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।
গত ১৭ জানুয়ারি এই আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বিলটি পাস হওয়ার পর নতুন আইনের আলোকেই পরের নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। একইসঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এদিকে ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দল।