জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব এ এস এম আলী কবীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো হসপিটাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
আলী কবীরের ব্যক্তিগত সহকারী সাকিব মাহমুদ বলেন, “স্যার অনেক দিন ধরে ফুসফুসে নানা সমস্যায় ভুগছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা চলছিল।”
এদিকে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বলে সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ের মসজিদে আলী কবীরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার তাতে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আলী কবীর মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেন পেশাজীবনের শুরুতে। কিছুদিন বাংলাদেশ ব্যাংকেও তিনি চাকরি করেন।
আলী কবীর পরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। জনপ্রশাসন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১১ সালে তিনি অবসরে যান।
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আলী কবীর।
এছাড়া ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার পাওয়া আলী কবীর বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তার লেখা কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধের বেশ কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, সরকারের সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম আলী কবীরকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডির বাইতুল আমান জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।