• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘দেশের সুস্থতার জন্য নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৭:১১ পিএম
‘দেশের সুস্থতার জন্য নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে’

ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারাবছর নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণীর রুট হিসেবে উন্নীত করতে পারলে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।”

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশকে সুস্থ রাখতে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে। নাব্যতা না থাকায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বেশ কিছু ড্রেজার সংগ্রহ করছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে পদক্ষেপ আর অগ্রসর হয়নি।”

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলত। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নয়, অন্যান্য নদী খননে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।”

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ নদী খননের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের বিষয়টি উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বেড়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্যতা বজায় থাকলে সমুদ্র বন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে।”

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব ফকার্ট দে জেগার এবং আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।
 

Link copied!