দেশি ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দেশি ফল বিলুপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা। আমরা এখন পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যে জোর দিচ্ছি। মানুষের খাওয়া বেড়েছে, তবে যে পরিমাণ খাচ্ছে, তা আরও বাড়ানো দরকার। একজন মানুষের ২০০ গ্রাম ফল দরকার প্রতিদিন।”
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো হচ্ছে প্রচুর। এতে আমদানির দরকার হবে না। খুলনায় লবণাক্ত জমিতে সারা বছর তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। লবণাক্ত জমিতে অনেক ফসল সবজি হচ্ছে।”
জাতীয় ফল মেলা নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই মেলায় কালোজাম দেখলাম, যা বিশ্ববাজারে খুবই দামি, মিল্কশেকে ব্যবহার হয়।”
এ সময় কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম, বিএআরসি চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণের মহাপিরচালক মো. বেনজির আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৩ জুন আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী জানান, এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে।
মন্ত্রী আরও জানান, কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। নিত্য-নতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল এ দেশের প্রধানফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হতো ৫৬ প্রজাতির ফল চাষ।