করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের তিনটি উপধরন হয়েছে। এই উপধরনগুলো ঢাকায় বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে আইসিডিডিআরবির ল্যাবরেটরিতে এক হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই ছিল করোনায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৬৯ শতাংশের দেহে।
এছাড়া ওমিক্রনের জিনোম সিকুয়েন্স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা শহরে তিনটি সাব টাইপ রয়েছে। এগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়।
গবেষণা সংস্থাটি আরো জানায়, বাংলাদেশে ৬ ডিসেম্বর ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ১১ ডিসেম্বর। ওই মাসেই আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পরীক্ষা করা ঢাকা শহরের ৭৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে পাঁচটিতে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল ডেল্টা।
ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদনে। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও মহিলা ১৬ জন। ২৭ জনের কোনো উপসর্গও ছিল না।
এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকার নেওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২৪ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর প্রথম ডোজ পেয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে মাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে করোনার এই ধরনে আক্রান্ত একজন সৌদিআরব থেকে ফেরা। বাকিরা দেশেই ছিলেন।