নাটোর শহরের একটি কেন্দ্রে টিকা না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্কুল কক্ষে আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে নাটোর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১২টার দিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকা দেওয়া শেষ হয়ে যায়। টিকা না পেয়ে হট্টগোল শুরু করেন টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষ। টিকা শেষ হওয়ার পরও এক থেকে দেড়শ নারী-পুরুষ টিকার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন স্বাস্থ্যকর্মীদের স্কুলের কক্ষে আটকে রাখেন। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
টিকা নিতে আসা এক নারী বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলে টিকা দেওয়া হবে, এ কারণে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা বলে টিকা শেষ। তাহলে কেন দাঁড়িয়ে রাখা হলো। তা ছাড়া পরবর্তী সময়ে কোন তারিখে টিকা দেওয়া হবে, তা-ও জানি না।”
স্থানীয় কাউন্সিলর নান্নু শেখ জানান, বরাদ্দের চেয়ে মানুষ বেশি হওয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যাতে এ সমস্যা না হয়, সে জন্য টোকেন সিস্টেম চালু করা হবে।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, টিকা প্রয়োগের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন কাউন্সলররা। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অব্যবস্থাপনার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।