বিদেশে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নেন শান্ত মল্লিক (২৮)। কিন্তু বিদেশ না গিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে সেই টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। আর সেই টাকার হিসাব চাওয়ায় স্ত্রী পারুল আক্তারকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শান্ত।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
খায়রুল আমিন জানান, পারুল আক্তার প্রায় সাত বছর জর্ডানে চাকরি করে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় নিজের নামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিল। একই সঙ্গে জর্ডানে থাকাকালে আসামির বোন তামান্নার সঙ্গে পারুলের সুসম্পর্কের সুবাদে শান্ত মল্লিকের সঙ্গে পারুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় সাত মাস আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলে।
সিআইডি জানায়, বেশ কিছুদিন পর পারুল তার বিদেশ যাওয়া এবং তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি শান্ত স্ত্রী পারুলের গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা অলী আহম্মদ অভিযুক্ত শান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করে শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শরিয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।