• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঝুমন দাসের দ্রুত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১, ০৪:৩৭ পিএম
ঝুমন দাসের দ্রুত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ঝুমন দাশের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ ঢাকা শাখা। 

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহবাগে এই মানববন্ধন হয়।

বিকেল সাড়ে চারটায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ঝুমন দাসের মুক্তি দাবি করা হয়। ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন।

সেদিনের সভাপতির বক্তব্যে জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “আমরা এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাই, আপনারা ঝুমন দাসকে মুক্তি দিন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন। এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অপরাধ, তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে যারা দুর্নীতি করছেন, লুটপাট করছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ, অন্যায় অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণকে নিরাপত্তা দেয় না। এই আইন লুটপাটকারীদের নিরাপত্তা দেয়। এই স্বাধীনতা, মৌলিক মানবাধিকার ও ৭২-এর সংবিধানের পরিপন্থী। তাই এই আইন বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে এই বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রাণী রায় ও তার ১১ মাস বয়সী ছেলে সৌম্য দাস উপস্থিত ছিলেন।

যে যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা, সেই ঝুমন দাশ ওরফে আপনের (২৮) বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম। 

ওই মামলায় ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে ১৬ মার্চ রাতে আটকের পর তাকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে।

হামলার ঘটনায় দিরাই থানায় আরও দুটি মামলা হয়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বাদী হয়ে করা মামলায় ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদারের করা মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার মানুষকে আসামি করা হয়।

 

Link copied!