“রিকশায় আমরা, কোনায় পুলিশ। আমরা হাত তুলে চিৎকার দিচ্ছি। মানে ছিনতাই হয়ে গেছে। ছিনতাই হওয়ার ৪ সেকেন্ড আগেই পুলিশের গাড়ি চলে যায়, ছিনতাইয়ের পর পুলিশ আমাদের ডাক শুনেছে, দেখেছে তাকিয়ে। গাড়িও থামায়নি, আমাদের হেল্পও করেনি।”
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ধানমন্ডিতে ছিনতাইয়ের শিকার উপস্থাপক সাদিয়া রশ্মি সূচনা কথাগুলো বলেন।
সাদিয়া রশ্মি সূচনা বলেন, “সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২-এর মেইন রোডে ভয়ংকর একটি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। রিকশায় বসা অবস্থায় ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে গেছে। অল্পের জন্য মনে হয় প্রাণে বেঁচে গেছি। ব্যাগে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিল। কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফিরে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে আমি এবং আমার স্বামী বিধান বাসায় ফিরছিলাম।”
ছিনতাইয়ের পর সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন দিলাম উল্লেখ করি তিনি আরও বলেন, “ছিনতাইকারীদের গাড়ি তখনো দৃষ্টিসীমার ভেতরে। লোকটা মুখ বের করে আমাদের দেখছে। জাস্ট আসাদগেট, মিরপুর রোডের সিগন্যাল লক করলেই ওদের ধরা সম্ভব ছিল। সেই অবস্থায় ৯৯৯ থেকে আমাকে বলা হয় ‘পল্লবী থানায় কল দেন’। গাড়িটা ধরা কতটা সহজ ছিল! একটু কো-অপারেশনের খুব অভাব ছিল।”
ছিনতাইয়ের ঘটনার পর ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন সাদিয়া রশ্মি সূচনা।
সংবাদ প্রকাশে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত, একদিন পেরিয়ে গেলেও, ছিনতাইকৃত মালামাল ভুক্তভোগী ফেরত পাননি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ছিনতাইয়ের শিকার সূচনা।