• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০,

চিনি-আটাসহ বেড়েছে সবকিছুর দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২১, ১২:০৬ পিএম
চিনি-আটাসহ বেড়েছে সবকিছুর দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে চিনির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং প্যাকেট করা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। এছাড়া আটা, মসুর ডাল, ডিম, তেল, মাছ, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বহু ক্রেতা। শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তারপরও পণ্যে দাম বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহ আগেও খোলা চিনির কেজি ছিল ৬৫ টাকা। কিন্তু এখন প্রায় ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যাদের কাছে আগের মজুত করা চিনি ছিল তারাই ৭০ টাকা বিক্রি করতে পারছেন। এছাড়া আটা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই আছে।

এদিকে ফের কিছুটা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। এছাড়া বসুন্ধরার পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, তীর ৬৮০ টাকা, রূপচাঁদা ৬৯০ টাকা, পুষ্টি ৬৬০ টাকা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও চিনির দাম বেশি। তাই দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তাদের কিছুই করার নেই। কারণ তাদেরও বাড়তি দামেই কিনে আনতে হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কিছুটা বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা, লেয়ার ২৩০ টাকা, হাঁস প্রতি পিছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কবুতর ১৩০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. আলী আকবর বলেন, “বন্যার কারণে খামারিরা মুরগি উৎপাদন করতে পারছে না। তাই দাম বেড়েছে।”

শুধু মুরগি নয়, দাম বেড়েছে ডিমেরও। বর্তমানে প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে বর্তমানে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, চীনা রসুন ১০০ টাকা এবং দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

আগের মতোই অস্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৭০ টাকা, আটাশ ৪৮ টাকা, স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা। ভারত থেকে চাল আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম কমবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

এদিকে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারে। বর্তমানে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৩০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, চিচিঙা ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ পিস ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা।

সপ্তাহিক বাজার করতে কারওয়ান বাজার এসেছে সরকারি চাকরিজীবী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, “সবজির দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও অন্য সব কিছুর দাম বেশি। ইচ্ছে না থাকলেও এই বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।”

নার্গিস আক্তার নামের এক গৃহিণী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আয় যা হয়, তার সবটাই চলে যায় বাজার খরছে। করোনার এই মহামারিতে দুঃসময়ের জন্য যে কয়টা টাকা জমাব সেই সুযোগ নেই। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।”

Link copied!