• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাল নিয়ে চালবাজি থেমে নেই


জাহিদ রাকিব
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২২, ১১:১২ এএম
চাল নিয়ে চালবাজি থেমে নেই

দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবনধারণের জন্য নিত্যপণ্যের প্রধান উপকরণ হচ্ছে চাল। দেশে এ চাল নিয়ে চালবাজির ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনা। চালকলমালিক ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এ খাদ্যপণ্যটি ক্রমেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে ভালো মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৯ টাকা কেজি দরে। কিছুটা কম মানের মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। আগে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা কম ছিল। এই বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। মানভেদে কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হয়েছে।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার পাইকারি দোকান এনএন জেনারেল স্টোরের মালিক মো. মোহসেন আলী সংবাদ প্রকাশকে জানান, ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৬৫ টাকা। আর বিআর ২৮ হিসাবে পরিচিতি মধ্যম মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। মাঝারি আকারের পাইজাম চালের দাম প্রতি কেজি ৫৫ টাকা।

মো. মোহসেন আলী আরও বলেন, ডিসেম্বর থেকে মিনিকেট ও নাজির শাইলের বাজার বেশ বাড়তি। এ দুটো চালের ৫০ কেজির বস্তা ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে মিনিকেট চালের বস্তা এখন ৩ হাজার টাকার নিচে নেই। মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বিআর ২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, পাইজাম ৪৫ টাকা, চিনিগুঁড়া ৭৬ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, বৈশাখ মাসে যখন ইরি ধান উঠেছিল তখন চালের দাম কমেনি। এখনো কমার লক্ষণ নেই। বরং দিন দিন দাম বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, কয়েক দিন ধরে যেভাবে সয়াবিন তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ছে, সেভাবে চালের দামও বাড়ছে। এই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পাইকাররা দাম বাড়ালে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না।

কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে সংবাদ প্রকাশকে বলেন, কখনো সরবরাহ সংকট, কখনো ধানের দাম বেশি বলে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম। সর্বশেষ আমন মৌসুমে সংকটের কথা বলে আবারও চালের দাম বস্তায় সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে বেশি দামে কিনে পাইকারি পর্যায়ে বেশি টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি বাজারে নিয়মিত বাজার করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী আরিফ মোল্লা। দ্রব্যমূল্যের এমন পরিস্থিতিতে বাজারে প্রতিনিয়ত কঠিন হিসাব করতে হয় তার। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে জিনিসপত্রের দাম নির্ধারণ করেন। এতে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষের।

বাজার করতে আসা শফিকুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, এখন তো সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে নতুন করে আবার চালের দাম বাড়লে তো মুশকিল।

Link copied!