• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে যুদ্ধের প্রভাবে : অর্থমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ০৬:২২ পিএম
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে যুদ্ধের প্রভাবে : অর্থমন্ত্রী
ফাইল ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের প্রভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ভার্চুয়ালি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অবশ্যই এটি যুদ্ধের প্রভাব। সিপিডির বক্তব্য আমরা জানি। আমাদের মনিটরিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা সিপিডির সিস্টেমে। আশপাশে আমাদের যেসব দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে দেখুন। অর্থনীতি সিপিডি ছাড়া কেউ বুঝে না সেটা নয়। দেশের অর্থনীতিতে সিপিডির অনেক অবদান আছে- সেটি আমি অস্বীকার করি না। আমি মনে করি তারাও তাদের মতো করে চিন্তা করেন। কখন কী করতে হবে সেটা বুঝতে হবে।”

কুইক রেন্টাল বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আগে বিদ্যুৎ পাই বা না পাই আমাদের মূল্য পরিশোধ করতে হতো। আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলেও সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি আগামী এক বছরের মধ্যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবো। যখন আমরা নতুন করে এই বিদ্যুৎ পাবো তখন এগুলোকে (কুইক রেন্টাল) বিলুপ্ত করতে পারবো। কুইক রেন্টাল আগের চেয়ে এখন ভিন্ন। কারণ এগুলোতে যতটুকু ব্যবহার করবো তার মূল্যই দিতে হবে, আগের মতো নয়।”

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “আমরা এগুলোর (কুইক রেন্টাল) মেয়াদ বাড়িয়েছি বুঝে শুনেই, আগামী দুই বছরের জন্য। আমরা একসময় নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবো। আমরা আজ কুইক রেন্টালের প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি একটি শর্তে, নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট।”

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী বাজেটে কেউ লুজার (ক্ষতিগ্রস্ত) নাই, সবাই জিতবে। যারা ব্যবসায়ী তারা আরও মনোযোগী হবেন। তাদের সহযোগিতার জন্য আপনারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আমাদের অবকাঠামো হয়ে গেছে, মানুষ এখন আগের তুলনায় শিক্ষিত- তারা যেকোনো প্রকল্প দাঁড় করাতে পারেন।”

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের কাজ হবে যারা ব্যবসায়ী তাদের সহযোগিতা করা। সরকারের যেসব পলিসি সেগুলোর সাপোর্ট দিয়ে তাদের আরও সহযোগিতা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য একদিকে তারা আয় করবেন, অন্যদিকে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। যেসব প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি তাদের আমরা সুযোগ সুবিধা বেশি দেবো।”

Link copied!