গণপূর্তের পাঁচ প্রকৌশলী ও তাদের স্ত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে অঢেল সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নোটিশে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানের কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তার নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে সম্পদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান প্রধান ও নাসরিন রহমান, গণপূর্তের শেরেবাংলা নগরের সার্কেল-৩ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নওশাদুল হক ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম, গণপূর্তের শেরেবাংলা নগর অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী সাদিয়া আফরিন, গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কল্পনা আক্তার এবং নগর গণপূর্ত বিভাগ উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. হুমায়ুন কবির।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে উপরিউক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (২) মােতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।